এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোজাফ্ফর আহমদ সিকদারের ছেলে একেখাঁন। বয়স আনুমানিক চল্লিশ বছর। তিনবছর আগে ২০১৫ সালের ১৫মার্চ ক্সবাজার নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে নোটারীমুলে ১২ লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে করেছিলেন আছমত আরা বেগম নামের তেইশ বছর বয়সের নারীকে। আছমত আরা মহেশখালী উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের সাপমরার ডেইল গ্রামের শফিউল আলমের মেয়ে।
জানা গেছে, বিয়ের পর নববধুকে নিয়ে চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন স্বামী একেখাঁন। একেখাঁেনর দাবি, সংসার জীবনে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ভাল সুখী ছিলেন। স্ত্রীর সব অভাব তিনি পুরণ করতেন। এভাবে চলে আসছিলে তাদের সুখের সংসার।
একেখাঁন অভিযোগ করেছেন, তিনি বাসায় উপস্থিত না থাকার সুযোগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারী ভোররাতে স্ত্রী আছমত বাসায় রক্ষিত নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার ও মালামাল নিয়ে ধলঘাটস্থ বাপের বাড়িতে চলে যান। এরপর তিনি বারবার চেষ্ঠা করেও পালিয়ে পাওয়া স্ত্রীকে আর ঘরে ফেরাতে পারেনি।
স্বামী একেখাঁন দাবি করেছেন, বাপের বাড়িতে থাকাবস্থায় স্ত্রী আছমত আরা বেগম গত ২৩ মার্চ কালারমারছড়া ইউনিয়নের আধারঘোনাস্থ পুূর্বপাড়া এলাকার মৃত তাজর মুল্লুকের ছেলে মোহাম্মদ আইয়ুবের সাথে আগের বিয়ে গোপন রেখে নতুন করে বিয়ে করেছেন। স্থানীয় কালারমারছড়া কাজী অফিসে তাদের বিয়ে সম্পাদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বামী একেখাঁন অবশেষে প্রিয়তমা স্ত্রী আছমত আরা বেগমসহ তাঁর সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে সিদ্বান্ত নিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: